করোনায় শিক্ষার ক্ষতি হ্রাসে ৪৭.৭৯ লাখ মার্কিন ডলার দিচ্ছে জিপিই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স প্ল্যান (সিএসএসআর)-এর আওতায় ডিজিটাল কন্টেন্ট উন্নয়ন ও প্রচারের উদ্যোগ শুরু হতে যাচ্ছে। ইউনিসেফ এবং বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তি সহায়তায় পরিচালিত এই উদ্যোগের জন্য ৪৭.৭৯ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য দিচ্ছে দ্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)।

মঙ্গলবার ( ২৩ নভেম্বর) ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেতে বলা হয়েছে,  সমন্বিত দূর-শিক্ষণ কন্টেন্ট তৈরিতে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি কমিয়ে আনতে ইউনিসেফ, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এক্ষেত্রে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত অংশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমরা টেলিভিশন, জাতীয় এবং কমিউনিটি রেডিও, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং মুদ্রিত সামগ্রীর জন্য আরও ইন্টারেক্টিভ ডিজিটাল শিক্ষা সামগ্রীর প্রাপ্যতা বাড়াতে জিপিই এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করতে পেরে রোমাঞ্চিত।

সিএসএসআর প্রকল্পকে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ সাড়া হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিসেফ শুধু শেখার ক্ষতিই মোকাবেলা করবে না। বরং এটি ডিজিটাল কন্টেন্ট ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আপদ মোকাবেলার শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি, ডিজিটাল শিক্ষা ইকোসিস্টেম, পাঠ্যক্রম, শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্ভাবন, শিশু নিরাপত্তা, দক্ষ শিক্ষক এবং আরও অনেক কিছুকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা দিবে।

২০২০ সালের মার্চ মাসে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারা বাংলাদেশে স্কুলগুলি টানা ৫৪৩ দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে পুনরায় খোলা হয়। এর ফলে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় থেকে মাধ্যমিক (অপ্রাতিষ্ঠানিক সহ) পর্যায় পর্যন্ত ৩.৫ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী (অর্ধেকের বেশি মেয়ে) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এই সময়ে শিক্ষা একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।

দ্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৬টি দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় তহবিল বরাদ্দ করছে, যার অংশ হিসাবে সিএসএসআর প্রকল্পের আওতায় জিপিই-এর অনুদান এজেন্ট হিসাবে বিশ্বব্যাংকের থেকে বাংলাদেশ ১.৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পেয়েছে।